আজ বুধবার, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সবার সমর্থন পাচ্ছে পাপ্পা গাজী, একুশে মে ভোট

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

দলীয় নেতাকর্মীদের জোড়ালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্মার্ট ও আধুনিক রূপগঞ্জ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আসন্ন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শিল্পপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। গতকাল তিনি এ ইঙ্গিত প্রদান করেন। এরপর থেকে সারা রূপগঞ্জে ও সোস্যাল মিডিয়ায় গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পার ব্যানার ,ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২ এপ্রিল এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাকিব আল রাব্বী ও রিটার্নি অফিসার রূপগঞ্জ। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষ ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। আপিল ২৪ এপ্রিল। ২৭-২৯ এপ্রিল আপিল নিষ্পত্তি । প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। ভোট গ্রহণ ২১ মে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।
এবার থাকছে না দলীয় প্রতীক। প্রার্থী উন্মুক্ত করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত এমপি নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন ভূমিদস্যুদের এমপি প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়া। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়ে নৌকা প্রতীকে গোলাম দস্তগীর গাজী পেয়েছেন ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪শ ৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়া কেটলী প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সোনালী পাটের আশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১ শত ৯০ ভোট। জাতীয় পাটির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১হাজার ৫শত ৬৫ ভোট। শাহজাহান ভূইয়া ও তৈমূর আলম তাদের নিজ ভোট কেন্দ্রে গাজীর কাছে পরাজিত হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জে ভোট পড়ে ৫৫.১৪%।
সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্জাহান ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতি ও জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি উন্নয়ন করেননি। স্থানীয় সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী উন্নয়ন করতে চাইলেও তার কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহ্জাহান ভুঁইয়া। মুড়াপাড়ায় মিনিস্টেডিয়াম নির্মাণেও বাঁধা দিয়েছেন এই শাহজাহান ভুঁইয়া। এরকম বহু কাজে বাধাঁ দিয়েছে শাহজাহান ভুঁইয়া। তার জন্য পিছিয়ে গেছে রূপগঞ্জের বহু উন্নয়ন কাজ। তাই তো রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে এবার রূপগঞ্জ রাঙাবেন গাজী গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। বহু স্বপ্ন নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। ভূমিদস্যুরা গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পার বিপক্ষে শাহজাহান ভুঁইয়া ও তার অনুগতদের প্রার্থী করবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাচনে এবার আর ভূমিদস্যুদের প্রার্থীকে ছাড় দেবে না স্থানীয় সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। ইতো মধ্যে মাঠে নামছে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার অনুগতরা ।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন , কোন নির্বাচনেই রূপগঞ্জে ভূমিদস্যুদের প্রার্থীকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা ভূমিদস্যুদের সন্ত্রাসী ও প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মাঠে আছি।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা জানান, আমি আমার নেতাকর্মীদের সাথে আছি। কারও ধমকে আপনারা ভয় পাবেন না। গত নির্বাচনে রূপগঞ্জে অনেক কিছু হয়েছে। সমাজের মুরুব্বিরা চাইলে আমি রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করবো। আমার দলের নেতা ও মুরুব্বিদের সমর্থনে আমি নির্বাচন করবো। সবার সমর্থন পাচ্ছি, অনেকেই এখন আমার জন্য প্রচার করছে।

রূপসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল্লাহ খাঁন মুন্না বলেন,গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা ভাই রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক মহোদয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে রূপগঞ্জকে আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে পারবেন। আমরা পাপ্পা ভাইকে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে চাই। তিনি এখন রূপগঞ্জের সর্ব সাধারণের প্রার্থী। তার বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। চেয়ারম্যান পদে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাকে সমর্থন জানিয়েছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা। গত ৩ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সমর্থন জানান। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীও তৎপর।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ